মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫
গত ১৯/১১/২০২৫ তারিখে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর গেজেট জারি করেছে সরকার।
অধ্যাদেশে জানানো হয়, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯ রহিত করে মানবদেহে সংযোজনের জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও এর আইনানুগ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এই প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ও অবৈধ পাচার রোধ করার লক্ষ্যেই এটি জারি করা হয়েছে।
নতুন প্রণীত সংশোধিত এসআরও অনুযায়ী প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplant)-সংক্রান্ত নীতিমালায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধনীতে দাতা–গ্রহীতা যোগ্যতা, আবেগজনিত (Emotional) দাতা, ক্যাডাভেরিক ডোনেশন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, সুইপ ট্রান্সপ্লান্টসহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রক্রিয়ার সংজ্ঞা, শর্ত ও অনুমোদন পদ্ধতি আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিস্থাপনের নিরাপত্তা, নৈতিকতা, নিবন্ধন, জাতীয় রেজিস্ট্রি ও চিকিৎসা মানদণ্ড নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে, যা চিকিৎসা সেবা আরও স্বচ্ছ, নিয়ন্ত্রিত ও জবাবদিহিমূলক করতে সহায়ক হবে।
📘 মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫ — বিস্তারিত ব্যাখ্যা (সহজ ভাষায়)
১. অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য
বাংলাদেশে মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপনকে নৈতিক, আইনগত ও নিরাপদ কাঠামোর আওতায় আনা। রোগীর জীবনরক্ষা, বেআইনি অঙ্গ বাণিজ্য প্রতিরোধ, দাতা-গ্রহীতা যাচাই এবং মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
২. গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা
অধ্যাদেশে কিছু পরিভাষার স্পষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে:
(ক) অঙ্গ (Organ)
হৃদপিণ্ড, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, কর্নিয়া, অস্থিমজ্জা ইত্যাদি।
(খ) জীবিত দাতা (Living Donor)
পরিবারের সদস্য, নিকট আত্মীয় অথবা আইনগতভাবে অনুমোদিত “Emotional Donor” যিনি নিজের ইচ্ছায় অঙ্গ দিতে পারবেন।
(গ) মৃত দাতা (Cadaveric Donor)
মস্তিষ্ক-মৃত (Brain-dead) ঘোষণা করা ব্যক্তি যার পরিবারের সম্মতি সাপেক্ষে অঙ্গ সংগ্রহ করা যায়।
(ঘ) Emotional Donor
স্বজন না হলেও, দাতার সঙ্গে মানসিক-সামাজিক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে—এমন ব্যক্তি।
(ঙ) Swap Transplant
যখন একটি দাতা-গ্রহীতা জুটি রক্ত/টিস্যু না মেলার কারণে অন্য জুটির সঙ্গে অঙ্গ আদান-প্রদান করে।
৩. অনুমোদিত অঙ্গ দানকারীর ধরন
✔ নিকট আত্মীয়ঃ রক্তসম্পর্ক ও বৈধ আত্মীয়ের তালিকা বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- পিতা-মাতা
- সন্তান ( পুত্র -কন্যা )
- ভাই-বোন
- স্বামী/স্ত্রী
- আপন চাচা, ফুফু ,মামা, খালা, দাদা-দাদি/নানা-নানি, নাতি - নাতনি,
- আপন চাচাতো,মামাতো, ফুফাতো , খালাতো ভাই বা বোন
- ভাতিজা - ভাতিজি
- ভাগ্নে- ভাগ্নি
- সৎ ভাই বোন
✔ Emotional Donor ঃ Emotional Donor (অনুভূতিজাত দাতা) সংজ্ঞা স্পষ্ট করে তাদের অনুমোদন পাওয়ার শর্ত কঠোর করা হয়েছে।
- দীর্ঘদিনের পরিচিত
- সমাজ/পরিবারিক ঘনিষ্ঠতা সম্পন্ন ব্যক্তি
- (তদন্ত ও কমিটির অনুমোদন বাধ্যতামূলক)
- রক্ত‑আত্মীয় নয়, কিন্তু দীর্ঘ দিনের পরিচয়/ sympathetic connection) রয়েছে
- বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
- দান স্বেচ্ছায় সচেতন এবং পরিপূর্ণ সম্মতি (Informed consent)দিতে হবে; অর্থ বা আর্থিক প্রলোভনে দিতে পারবে না।
- দাতার মানসিক অবস্থা, স্বেচ্ছা ইচ্ছা, আর্থিক লেনদেনের অনুপস্থিতি ইত্যাদি যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
✔ Cadaveric Donor
- Brain-death নিশ্চিতকরণ, আইনি অনুমোদন, হাসপাতাল টিমের রিপোর্ট—সব নিশ্চিত হওয়ার পর অঙ্গ সংগ্রহ করা যায়।
- Brain Death ঘোষণা করার জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড এবং বিশেষজ্ঞ প্যানেল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
- পরিবার বা আইনগত অভিভাবকের অনুমতি, রেকর্ড ও নথি সংরক্ষণ আরও কঠোরভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
✔ Swap Transplant (Mismatch হলে অদল–বদল প্রতিস্থাপন)–এর স্পষ্ট নির্দেশনা
নতুন অঙ্গ‑সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাংলাদেশে “Swap Transplant” বা “Paired Donation” ধারণাকে আইনগত স্বীকৃতি দিচ্ছে, যা কিডনি (বা অন্যান্য অঙ্গ) বিতরণকে আরও কার্যকর করতে পারে।
এর মাধ্যমে যারা সাধারণ দানকারীর সঙ্গে মিলছেন না, তারা অন্য দাতা–রোগীর সঙ্গে “অঙ্গ আদান-প্রদান” করতে পারবে এবং এতে মিলে যাওয়া সংযোগগুলি জাতীয় রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সহজভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে।
- Mismatch হলেও দুই পরিবারে ক্রস-ম্যাচিং অবস্থায় অঙ্গ অদল–বদল প্রতিস্থাপন অনুমোদনের নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে।
- Swap Transplant করার আগে জাতীয় রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ডাটাবেজ যাচাই বাধ্যতামূলক।
- কিন্তু, এই “সুইচ” গুলো করার সময়ও দাতা‑রোগী জোড়াকে আইনগত ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করা হবে — যাতে কোনো ধরনের আর্থিক লোভ, জোর বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য না থাকে।
৪. কোন কোন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যাবে
- কিডনি
- যকৃত
- হৃদপিণ্ড
- অন্ত্র
- ফুসফুস
- চোখ
- চর্ম
- অস্থিমজ্জা
- টিস্যু/ত্বক
- অগ্ন্যাশয়
- মানবদেহে প্রতিস্থাপন যোগ্য যে কোনো অঙ্গ ও প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি
৫. গ্রহীতার যোগ্যতা (Recipient Eligibility)
- রোগ নির্ণয় সঠিক হতে হবে
- বিশেষজ্ঞ বোর্ডের অনুমোদন
- হাসপাতাল কমিটির যাচাই
- দাতা-গ্রহীতা টিস্যু ম্যাচিং রিপোর্ট
- আইনি নথির মিল
৬. দাতা-গ্রহীতা যাচাই ও অনুমোদন প্রক্রিয়া
রক্ত পরীক্ষা, টিস্যু কম্প্যাটিবিলিটি, অর্গান-ফাংশন টেস্ট।
দাতা নিজ ইচ্ছায় অঙ্গ দিচ্ছেন কিনা—জবরদস্তি বা আর্থিক লেনদেন নেই কিনা।
জাতীয় পরিচয়পত্র, সম্পর্কের প্রমাণ (জন্মনিবন্ধন/দলিল/ডিএনএ টেস্ট), পুলিশ ভেরিফিকেশন।
- (৪) হাসপাতাল অনুমোদন কমিটি (THAC)
- নথি পরীক্ষা
- মেডিকেল রিপোর্ট যাচাই
- সাক্ষাৎকার
- চূড়ান্ত অনুমোদন/অ- অনুমোদন
৭. মৃতদেহ থেকে অঙ্গ সংগ্রহ—Brain Death
Brain-death নির্ধারণের জন্য:
- Two-physician panel
- Neurological criteria
- Pain response test
- Apnea test
- Brainstem reflex test
সব রিপোর্ট সঠিক হলে “Brain-dead” ঘোষণা।
Emotional Donor Approval Committee (অনুমোদন কমিটি) — অধ্যাদেশ অনুযায়ী
জাতীয় কমিটি (National Committee)
Emotional (sympathetic) দাতা‑গ্রাহক (non-relative) দানকে অনুমোদন করার দায়িত্ব একটি জাতীয় কমিটি-এর উপর রাখা হয়েছে।
কমিটির উদ্দেশ্য হবে যাচাই করা যে দাতা সত্যিকারভাবে আবেগগতভাবে রোগীর সঙ্গে যুক্ত (emotional connection), এবং দান কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য দ্বারা প্রভাবিত নয়।
কমিটির নেতৃত্ব ও সদস্যগণ-
- এই কমিটির চেয়ারম্যান (chair) হিসেবে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh Medical University) ভাইস‑চ্যান্সেলর পদভোক্তা থাকবেন।
- সদস্য হিসেবে নিম্নলিখিত প্রতিনিধিরা থাকবেন:
- পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি
- পুলিশ অফিসার (নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণ থেকে)
- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ (National Institute of Mental Health)‑এর প্রতিনিধি, মানসিক সক্ষমতা যাচাই করার জন্য।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে একজন আইন অধ্যাপক (law professor) কমিটির সদস্য হবেন।
- একটি মানবাধিকার (human rights) সংগঠন‑নির্ধারিত সচেতন সক্রিয় ব্যক্তি বা মানবাধিকার কর্মী (activist) সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হবে।
- কমিটির “মেম্বার সেক্রেটারি” হবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (Health Services Division)-এর একটি জয়েন্ট সেক্রেটারি (Joint Secretary)।
কমিটির কাজ ও দায়িত্ব-
- Emotional দাতার আবেদন মূল্যায়ন: দাতা আবেদন পেলে, কমিটি দাতার “স্মৃতি / সংযোগ” এবং “স্বেচ্ছাস্বীকৃতি” যাচাই করবে।
- আর্থিক প্রলোভন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পরীক্ষা: নিশ্চিত করতে হবে যে দান পিছনে কোনো অর্থনৈতিক লোভ বা চাপ নেই।
- মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতার মূল্যায়ন: दाता মানসিকভাবে “sound” এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত মানদণ্ড পূরণ করছে কি না, তা দেখবে।
- দান সিদ্ধান্তের সচেতনতা: দাতা সম্পূর্ণভাবে “informed consent” দিচ্ছে কিনা এবং সিদ্ধান্ত প্রতিপাদন করছে কিনা, তা নিশ্চিত করা।
রেজিস্ট্রি ও নজরদারি-
- এই কমিটি জাতীয় রেজিস্ট্রি (national registry)–এর সঙ্গে কাজ করবে, যেখানে দাতা ও প্রাপক উভয়ের তথ্য থাকবে।
- কমিটি নিয়মিত চেক করবে, যাতে প্রকৃত দাতা‑গ্রাহক জোড়াগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং আইন লঙ্ঘন না হয়।
Hospital Authorization & Medical Board Requirement
- প্রতিস্থাপন-সম্পন্নকারী হাসপাতালকে নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।
- প্রতিটি প্রতিস্থাপনের আগে মেডিকেল বোর্ডের অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
Clinical Process ও Documentation Standardization
রক্ত, HLA Matching, মানসিক মূল্যায়ন, কম্প্লায়েন্স রিপোর্ট, সম্মতিপত্র, মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ সব নথি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
চিকিৎসা নিরাপত্তা বাড়াতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ
প্রতিস্থাপনের ঝুঁকি মূল্যায়ন, ICU সাপোর্ট, পোস্ট-ট্রান্সপ্লান্ট ফলোআপ ও জটিলতা পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন গাইডলাইন যুক্ত করা হয়েছে।
৮. নিষিদ্ধ কার্যক্রম
অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অপরাধ:
- অঙ্গ কেনাবেচা
- প্রলোভন, প্রতারণা, জবরদস্তি
- ভুঁইফোঁড়/অননুমোদিত হাসপাতালে প্রতিস্থাপন
- ভেজাল বা ভুয়া নথি ব্যবহার
- বিদেশে বেআইনি প্রতিস্থাপন
৯. শাস্তির বিধান
- অবৈধ অঙ্গ বাণিজ্য (Organ trade / commercial dealing)- সর্বোচ্চ **৩ বছর কড়াকড়ি কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
- অবৈধ অঙ্গ অপসারণ (unauthorized organ removal)-সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড।
- সম্পর্ক সম্পর্কে মিথ্য তথ্য দেওয়া (যেমন দাতা–গ্রাহকের মধ্যে সম্পর্ককে ভুলভাবে আত্মীয় বলে চিহ্নিত করা)- (৫ লাখ) পর্যন্ত জরিমানা বা সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড।
- অরগান লেনদেনে দায়ী হাসপাতাল / ব্যক্তিঃ আইন লঙ্ঘনকারী হাসপাতালের অনুমোদন বাতিল করা যেতে পারে এবং জরিমানা ধার্য হতে পারে।
- চিকিৎসক অপরাধ করলে - বিএমডিসি (BMDC) কর্তৃক তাহার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে
- অপরাধের তদন্ত বিচার আপিল ইত্যাদি code of criminal procedure 1898 অনুযায়ী হবে ।
১০. জাতীয় অঙ্গ নিবন্ধন (National Register)
- দাতা ও গ্রহীতার তথ্য সংরক্ষণ
- হাসপাতালসমূহের সংযোগ
- দেশের অঙ্গঘাটতি কমাতে স্বচ্ছ ব্যবস্থা
১১. হাসপাতালের দায়িত্ব
- রেজিস্টারড ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার হতে হবে
- অঙ্গ সংরক্ষণ, পরিবহন ও সার্জারি মান বজায় রাখা
- Brain-death বোর্ড রাখতে হবে
- সব তথ্য জাতীয় নিবন্ধনে আপলোড করা বাধ্যতামূলক
১২. আইনগত সুরক্ষা
- দাতার নিরাপত্তা
- চিকিৎসকের অযৌক্তিক দায়মুক্তি
- রোগীর অধিকার রক্ষা
- গোপনীয়তা সংরক্ষণ
ⒸBKPA
Caution:
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
সতর্কতাঃ
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।