২৪ ঘণ্টা ইউরিন প্রোটিন টেস্ট (24 Hours Urine Protein test) এর প্রয়োজনীয়তা ও টেস্টের নিয়মাবলী

post-image

২৪ ঘণ্টা ইউরিন প্রোটিন টেস্ট (24 Hours Urine Protein test) এর প্রয়োজনীয়তা ও টেস্টের নিয়মাবলী

প্রায়ই অনেক কিডনি রোগী এবং ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট রেসিপিয়েন্টদের দেখা যায় হুট করে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাচ্ছে অথবা ইউরিন আরএমই ( Urine RME) টেস্ট করার পর প্রোটিন ট্রেস (Trace) অথবা প্লাস (Plus) দেখাচ্ছে।

খুব স্বাভাবিকভাবে যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের ইউরিন দিয়ে প্রোটিন যায়। খুব প্রাথমিক অবস্থায় যদি সেটা ধরা পরে তাহলে নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শে প্রথম থেকে chikitsha শুরু করলে সেটা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। কিন্তু খুব দুঃখজনক ভাবে সত্যি যে ইউরিন দিয়ে প্রোটিন যাওয়াটা ধরা পরে অনেক পরে কিন্তু তখন ততদিনে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। সাধারণত ২৪ ঘণ্টার ইউরিন প্রোটিন এর নরমাল রেঞ্জ ১৫০ mg per day. (ল্যাব টু ল্যাব এই রেফাররেন্স রেঞ্জ চেঞ্জ হতে পারে।)

কিন্তু আমারা সাধারণত urine R/E test করে থাকি। তাই যখন urine R/E টেস্ট এ প্রোটিন ট্রেস (Trace) অথবা প্লাস (Plus) দেখায় ততদিনে ২৪ ঘণ্টা প্রোটিন টেস্ট করলে সেখানে প্রোটিন যাওয়াটা নরমাল ১৫০ mg এর অনেক বেশি চলে যায়।

তাই যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত বিশেষ করে যারা ক্রনিক কিডনি রোগ এবং কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছেন তাদের প্রথম থেকে অন্তত ৩ মাস অথবা ৬ মাস পর পর 24 Hours Urine Protein test টা করা উচিৎ।

আমাদের দেশের ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার গুলো এবং পার্শ্ববর্তী দেশের অনেক কিডনি সেন্টার গুলোতেও কেন জানি ডাক্তাররা এই 24 Hours Urine Protein test টি তাদের মাসিক ফলোআপ এ রাখেন না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের দেশের বেশিরভাগ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট ভাই ও বোনদের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট এর পর এই প্রোটিন যাওয়ার কারনেই অনেক তাড়াতাড়ি কিডনি বিকল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে প্রতি ৩ মাস বা ৬ মাস পর পর যদি 24 Hours Urine Protein test টা করা হয় তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি প্রোটিনইউরিয়া মেডিসিন খেয়ে কন্ট্রোল করা যায় ।

TOPICS :- PROTEINUREA সম্পকে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

Proteinurea/Chronic Kidney Disease(CKD)

➤ কাদের ২৪ ঘণ্টা ইউরিন প্রোটিন টেস্ট টা করা জরুরি ???

☠ Diabetic nephropathy - যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডাইবেটিক্স রেয়েছে।

অনেক সময় কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পর পরই ইমুনুসাপ্রেসিভ ওষুধ খাওয়ার ফলে সুগার লেভেল বেড়ে যায় ( বিস্তারিত পড়ুন ,

New On Set Diabetes After Transplant (NODAT)

ফলে প্রস্রাবের সাথে অনেক বেশি পরিমান প্রোটিন নিগ্রত হতে থাকে এবং খুব দ্রুত ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা কিডনি বিকল হতে থাকে। তাই এখন থেকে কায়িক পরিশ্রম বারায় দিন এবং প্রতি ৬ মাস পর পর একবার করে HBA1C test টি করে আপনার সুগার লেভেলের আসল পরিমাপ দেখে নিন।

☠ High blood pressure. - অস্বাভাবিক উচ্চ রক্তচাপ স্থায়ীভাবে কিডনি ক্ষতি করতে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করা অতি জরুরি।

☠ Lupus nephritis – লুপাস একটি অটোইমিউন রোগ যেখানে নিজের শরীরেরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উল্টা নিজের কিডনীতে আক্রমণ করে এবং তাদের ক্ষতি করে।তাই যারা এ রোগে আক্রান্ত্র তাদের অবশই প্রোটিন ইউরিয়া চেক করা উচিৎ।

এছাড়াও যাদের ঘন ঘন ইরিন ইনফেকশন (urinary tract infections – UTI ) বিশেষ করে নারীদের এবং যারা Nephrotic syndrome ( কিডনি রোগ) যেমন হাত মুখ ফুলে গেলে অথবা ইউরিনে ফেনা হলে , Polycystic kidney disease (এক প্রকার সিসট যা কিডনি তে তরল পদার্থ হিসেবে জমে কিডনির সাইজ কে বড় করে তুলে এবং কিডনি টিস্যুকে নষ্ট করতে থাকে) ভুগতেসেন তাদের অবশই অবশ্যই প্রতি ৩ মাস অথবা ৬ মাস পর পর 24 Hours Urine Protein test টা করা জরুরি।

➤24 Hours Urine Protein test কই করবেন ???

অনেকে বিভিন্ন ল্যাব থেকে এই টেস্ট করে থাকেন। তবে আমাদের সবার মতে অনেক ভাল ল্যাব ছাড়া এই টেস্ট এর ফল বিভ্রান্তিকর রেজাল্ট দেয়। তাই এই টেস্ট করলে মহাখালি ICDDR,B থেকে করাই ভালো।

➤24 Hours Urine Protein test করার নিয়ম-

অনেকেই জানেন না কিভাবে 24 Hours Urine Protein test স্যাম্পল কালেক্ট করতে হয়। যার ফলে প্রায় অধিকাংশ সময়ে নিজের অজান্তে ভুল ভাবে ইউরিন স্যাম্পল কালেক্ট করে থাকেন সবাই এই টেস্ট এর জন্য।

তাই 24 Hours Urine Protein test টেস্ট করার জন্য প্রথমে একদম পরিস্কার খালি Unused একটা খালি পাত্র সংগ্রহ করুন। অনেক সময় অনেকে ৫ লিটারের পানির ব্যাবহারিত জার ব্যবহার করে থাকেন যা অনেক ভাল ল্যাব গুলো বিশেষ করে আইসিসিডিডিআর বি সেটা গ্রহন করে না। তাই আপনারা RFL দোকান থেকে একটা ৫ লিটারের পাত্র সংগ্রহ করতে পারেন।

এর পর আসি ইউরিন সংগ্রহ করার নিয়মে- অনেকেই ভুল করে ২৪ ঘণ্টা ইউরিন কালেক্ট করে থাকেন। প্রথমে আপনি ঠিক করে নিন কয়টা থেকে আপনি ইউরিন কালেক্ট করা শুরু করবেন। সাধারণত সকাল বেলায় ইউরিন কালেক্ট করা ভালো।

এখন ইউরিন কালেক্ট করা নিয়ম হলো ধরুন আপনি সকাল ৭ টা থেকে ইউরিন কালেক্ট করতে চান। তাহলে সকাল ৭ টায় আপনি টয়লেট এ গিয়ে প্রথম ইউরিন টা ফেলে দিবেন। এর পর থেকে সকাল ৭ টা থেকে পরবর্তী দিনের ৭ টা পর্যন্ত যত ইউরিন আসবে সব (টোটাল ২৪ ঘণ্টা ) টা অই পাত্রে সংগ্রহ করতে হবে। কোন প্রকার ইউরিন বাহিরে ফেলবেন না। এবং খেয়াল রাখবেন প্রথম ইউরিন টা বাহিরে ফেলে দিয়ে এর পর থেকে ২৪ ঘণ্টা কাউননট করবেন।

বিস্তারিত - Why might I need a 24-hour urine collection?

ICDDR,B তে টেস্ট করার নিয়ম-

Urine Protein Test

➤24 Hours Urine Protein test সতর্কতা –

যেদিন 24 Hours Urine Protein test টি করবেন সেদিন ও তাঁর আগের দিন ভারি কাজ করা থেকে বিরত থাকুন এবং শরীরকে পর্যাপ্ত রেস্ট দিন।

মনে রাখবেন নিচের যেকোনো একটি কারনের জন্য আপনার 24 Hours Urine Protein test এ প্রোটিন এর পরিমান বেশি আসতে পারে যদি –

- জর থাকলে

- অপর্যাপ্ত পানি গ্রহন করেন অর্থাৎ dehydration থাকেন

- প্রস্রাব পরীক্ষার 3 দিনের মধ্যে ডাই ব্যবহার করে কোনো ধরণের এক্স-রে পরীক্ষা করে থাকেন।

- মানুষিক ভাবে স্ট্রেস থাকেন

- অনেক বেশি পরিমান শারীরিক পরিশ্রম করলে

- ইউরিন ইনফেকশন থাকলে

- Antibiotics খাওয়ার ফলে

- Vitamin C supplements

- Certain medicines used to treat Parkinson disease

ⒸBKPA_Foundation

Facebook Group: BKPA FOUNDATION - FACEBOOK GROUP

Facebook Page: BKA FOUNDATION - FACEBOOK PAGE

Caution:

BKPA Foundation is a voluntary social organization dedicated to raising awareness and sharing knowledge about kidney disease. The foundation’s mission is to educate the public, promote preventive measures, and disseminate reliable information regarding kidney health.

BKPA Foundation does not provide any form of medical advice—directly or indirectly—through social media or any other platform. All medical guidance, diagnosis, or treatment should only be provided by a qualified nephrologist or a registered medical practitioner. Receiving or taking any medical treatment based solely on the information shared by BKPA Foundation is strictly prohibited.

সতর্কতাঃ

**বিকেপিএ ফাউন্ডেশন (BKPA Foundation) একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, জ্ঞান প্রচার এবং সঠিক তথ্য শেয়ার করা। প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণকে শিক্ষিত করা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রচার করা এবং কিডনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করা। **

বিকেপিএ ফাউন্ডেশন কোনো ধরনের চিকিৎসা পরামর্শ—সরাসরি বা পরোক্ষভাবে—সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদান করে না। চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ, রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা গ্রহণ শুধুমাত্র নেফ্রোলজিস্ট বা নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমেই করা উচিত। বিকেপিএ ফাউন্ডেশন প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোনো চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।